এক বাদশার একটি বাগান ছিল। বাগানটি ছিল অনেক বড় এবং বিভিন্ন স্তর বিশিষ্ট। বাদশাহ একজন লোককে ডাকলেন। তার হাতে একটি ঝুড়ি দিয়ে বললেন, আমার এই বাগানে যাও এবং ঝুড়ি বোঝাই করে নানা রকম ফলমুল নিয়ে আস। তুমি যদি ঝুঁড়ি ভরে ফল আনতে পার আমি তোমাকে পুরস্কৃত করব। কিন্তু শর্ত হল, বাগানের যে অংশ তুমি পার হবে সেখানে তুমি আর যেতে পারবে না। লোকটি মনে করলো এটা তো কোন কঠিন কাজ নয়। সে এক দরজা দিয়ে বাগানে প্রবেশ করল। দেখল, গাছে গাছে ফল পেকে আছে। নানা জাতের সুন্দর সুন্দর ফল। কিন্তু এগুলো তার পছন্দ হল না। সে বাগানের সামনের অংশে গেল। এখানকার ফলগুলো তার কিছুটা পছন্দ হল। কিন্তু সে ভাবল আচ্ছা থাক সামনের অংশে গিয়ে দেখি সেখানে হয়ত আরো উন্নত ফল পাব, সেখান থেকেই ফল নিয়ে ঝুঁড়ি ভরব। সে সামনে এসে পরের অংশে এসে অনেক উন্নত মানের ফল পেল। এখানে এ সে তার মনে হল এখান থেকে কিছু ফল ছিড়ে নেই। কিন্তু পরক্ষণে ভাবতে লাগলো যে সবচেয়ে ভাল ফলই ঝুড়িতে নিবে। তাই সে সামনে এগিয়ে বাগানের সর্বশেষ অংশে প্রবেশ করল। সে এখানে এসে দেখল ফলের কোন চিহ্ন ই নেই। অতএব সে আফসোস করতে লাগল আর বলতে লাগল, হায় আমি যদি বাগানে ঢুকেই ফল স...
সময়ের সাথে সাথে পারস্পারিক পরিবেশের সাথে মানুষের চিন্তা ভাবনা কিভাবে পরিবর্তিত হয়েছে তা এখনো ইতিহাসবিদ এবং নৃবিজ্ঞানীদের প্রিয় গবেষণারর বিষয়। এখন আমরা আলোচনা করবো সেই দশটি সত্যিকারের মানব সভ্যতার কথা যেগুলো কোন কল্প কাহিনীর সভ্যতা নয় (যেমন আটলান্টিস , লেমুরিয়া , রামা সভ্যতা) , যে সভ্যতাগুলো মানব জাতিতে বিপ্লব এনেছিলো। নিম্নে সভ্যতা গুলো ক্রনোলোজিক্যাল অর্ডার অনুসারে দেওয়া হলোঃ ১. মেসোপটেমিয়ান সভ্যতা মেসোপটেমিয়ান সভ্যতা পৃথিবীতে মানব সৃষ্টির পরে সর্ব প্রথম যে সভ্যতাটির সৃষ্টু হয় সেটি হচ্ছে মেসোপটেমিয়া। মেসোপটেমিয়ার জন্ম এতো আগে যে এর আগে অন্য কোন সভ্যতার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হয় ৩৩০০-৭৫০ বিসি পর্যন্ত এই সভ্যতাটি টিকে ছিলো এবং এই সভ্যতার হাত ধরে মানুষ সভ্য সমাজের সৃষ্টি করেছিলো। ৮০০০ বিসি এর দিকে তারা কৃষিকাজ আবিষ্কার করে এবং আস্তে আস্তে খাবার ও চাষাবাদের জন্যে গৃহপালিত পশু পালন শুরু করে। যদিওবা এর অনেক আগে থেকেই মানুষের শিল্পকলার সাথে পরিচয় ঘটে কিন্তু সেটি ছিলো মানুষের সংস্কৃতির অংশ , সভ্যতার নয়।বর্তমান ইরাক বা ততকালিন ব্যাবিলিয়ন , সুমার , এস্যারিয়াতে তাদের ...
ইসলাম ক্ষমার ধর্ম। একজন মানুষ যত অন্যায়ই করুক না কেন ইসলাম তাকে ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছে। বিভিন্ন কিতাবে আল্লাহপাকের অনেক গুণের কথা উল্লেখ আছে- সব থেকে বড় যে গুণের কথা উল্লেখ আছে সেটা হচ্ছে ক্ষমা করার গুণ। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, পৃথিবী ও আকাশে যা কিছু আছে সমস্তই আল্লাহর মালিকানাধীন। যাকে চান মাফ করে দেন এবং যাকে চান শাস্তি দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও করুণাময়। (সূরা-আল ইমরান, আয়াত-১২৯) ইসলাম উদারতার ধর্ম। আল্লাহপাক মহান। কিন্তু ইসলামে এমন একটি পাপ আছে যেটা করলে আল্লাহপাক কখনো ক্ষমা করবেন না। সেটা হচ্ছে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা। অর্থাৎ শিরক করা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, বলো, তিনি আল্লাহ, একক। আল্লাহ কারোর ওপর নির্ভরশীল নন এবং সবাই তার ওপর নির্ভরশীল। তার কোনো সন্তান নেই এবং তিনি কারোর সন্তান নন। এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। (সূরা-ইখলাস, আয়াত-১-৪) অন্য একটি আয়াতে আল্লাহপাক আরও ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ অবশ্য শিরককে মাফ করেন না। এছা...
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন